প্রতিষ্ঠালগ্ন হতে অদ্যবধি কানযুল হক’র সাংগঠনিক কার্যক্রমসমূহ সালক্রমেঃ
কানযুল হক প্রতিষ্ঠার চিন্তাধারা প্রবর্তন
মূলতঃ এই সময় থেকেই মিশন কানযুল হক পা বাড়ায়।
পটিয়ার ধাউরডেংগা অঞ্চলে ‘দাওয়াতে খায়র’ এর আবর্তন
চট্টগ্রামে অবস্থিত পটিয়াস্থ ধাউরডেংগা এলাকার আভ্যন্তরীণ আকিদা-আমলগত সমস্যাকে কেন্দ্র করেই এর বিবর্তন।
প্রতি সোমবার এবং বৃহস্পতিবার বিষয়ভিত্তিক খোলাখুলি আলোচনা করার নিয়ম চালুকরণ
মানুষ বিভ্রান্ত হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে, প্রশ্নের যথাযথ উত্তর খুজেঁ না পাওয়া। আর এই সমস্যা সমাধানে ‘টিম কানযুল হক’ এই অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নেয়।
টিম গঠনের জন্য ‘হাবীব’ তৈরি
(‘কানযুল হকের দায়িত্বশীল পদ হচ্ছে ‘খাদেম’। খাদেমদেরকে ‘কানযুল হক’ এর ‘হাবীব’ হিসেবে গণ্য করা হবে। )
আনুষ্ঠানিকভাবে ১২ ই রবিউল আউয়ালের দিন মিশন শুরু করা হয়; যদিও ২০১৮ সালে এর প্রবর্তন হয়।
পটিয়ার ধাউরডেংগা এলাকায় প্রথমবারের মতো ঈদে মিলাদুন্নবী ﷺ উপলক্ষে জুলুস বা আনন্দ র্যালি এর আবর্তন।
‘কানযুল হক অনলাইন টিম’ গঠন
এই টিম অনলাইনে কানযুল হকের সেবা প্রদানে নিয়োজিত।
‘কানযুল হক নারী ফোরাম’ গঠনের চিন্তাধারা প্রবর্তন
সমাজের সকলের কথা মাথায় রেখেই এর চেতনার আবর্তন।
‘কানযুল হক’ এর আয়োজনে ‘দরসে আকায়েদ’ তথা আকিদার দরস এর প্রবর্তন
‘দরসে আকায়েদ’ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ‘কানযুল হক’ মানুষের আকিদা বিশ্বাস সংশোধন করতে চায়। এক্ষেত্রে তারা মজবুত এবং অখন্ডনীয় দলিল বা যুক্তি উপস্থাপন করে। তাদের বিপক্ষে কোনো দলিল থেকে থাকলে এবং যৌক্তিক খন্ডন করতে পারলে ‘কানযুল হক’ অবশ্যই নত স্বীকার করবে।
‘কানযুল হক’ এর প্রধান অফিস প্রতিষ্ঠা
এটি একটি অস্থায়ী অফিস। পরবর্তীতে এটির স্থায়িত্ব প্রকাশ করা হবে।
‘ইসলাহে আ’মালে উম্মত’ তথা ‘উম্মতের আমলকেন্দ্রিক সংশোধন’ নামক প্রজেক্ট/দরস/প্রশিক্ষণ ইত্যাদির প্রবর্তন
আজকাল মুসলমানরা ইসলামকে শুধুই নামাজ-দোয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রেখেছে। অথচ তারা সকলেই নির্দ্বিধায় স্বীকৃতি দেয় যে, ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা। কিন্তু বাস্তবে তারা উদাসীন। একারণে তারা পিছিয়ে বললেই হয়। তাই, তাদের জাগরণে এই মিশন কাজ করে যাচ্ছে।
‘কানযুল হক পরামর্শ বোর্ড’ গঠনের চিন্তাধারা প্রবর্তন
জ্ঞানী, যুক্তবাদী, ন্যায়বিচারক, সত্যনিষ্ঠ ব্যক্তিত্বসম্পন্নদের নিয়ে এই বোর্ড গঠিত হবে।
‘কানযুল হক নাত কাউন্সিল’ প্রতিষ্ঠা
ইসলাম আনন্দে কখনোই বাধা দেয়নি। বরং, অন্যায়, হারাম এবং অশ্লীলতায় ইসলামের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কিন্তু তথাকথিত মুসলমানেরা সুরের রাজ্যে আনন্দ হিসেবে অশ্লীলতাকেই বেছে নেয়। আর মুসলমানদের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে বিপ্লব আনতেই এই টিম কাজ করে যাচ্ছে।
‘কানযুল হক কিশোর টিম’ গঠন
কিশোর বয়সী এবং তার নিম্নবয়সী ভাইদের জাগরণে এটি গঠিত হয়।
‘কানযুল হক নারী ফোরাম’ গঠন
নারীসমাজের বিপ্লবে ‘কানযুল হক উইমেন টিম’ গঠিত হয়।
দেশে ৬ টির অধিক শাখা প্রতিষ্ঠা
যৌক্তিক মতবাদ সর্বত্র প্রতিষ্ঠার উদ্দ্যেশ্যে দেশে ৬ টিরও অধিক শাখা প্রতিষ্ঠিত হয়। তাছাড়া আরো জায়গায় কানযুল হকের কার্যক্রম চলমান।
‘কানযুল হক স্টাডি টিম’ গঠন
পড়াশুনা থেকে আজকাল লোকেরা এক্কেবারেই বিমুখ। ফলস্বরূপ তারা যুক্তির সাহায্যে কোনো বিষয় বিবেচনা করতে ব্যর্থ। তাছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক দিক দিয়ে শিক্ষিত লোকের হার বাড়লেও জ্ঞানীর হার দিন দিন কমছে এবং মূর্খতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর সমাজে জ্ঞানমূখী পড়ালেখার জাগরণ এবং বিপ্লবের উদ্দ্যেশ্যেই এই টিম গঠিত হয়েছে।
‘কানযুল হক দরসে কাদেরী’ প্রতিষ্ঠা
একসময় ইলমে দীনের আলেমগণ শুধুই একমুখী শিক্ষায় শিক্ষিত ছিলেননা। বরং, যুগের সেরা সেরা আবিষ্কার থেকেও শুরু করে চিকিৎসা, বিজ্ঞান, অর্থনীতি ইত্যাদি বহু বিষয়ে তাদের ছিলো দক্ষতা। কিন্তু আফসোস আজকাল আলেমগণ কিতাববিমুখ এবং বহুমুখী জ্ঞানচর্চা হতে দূরে। ফলে তারা সমাজের কঠিনতর প্রশ্নাবলীর উত্তর এবং সমস্যার সমাধান দিতে ব্যর্থ। আর তাদের জাগরণ এবং বিপ্লবে উত্থান হয় দরসে কাদেরীর। এটি মূলতঃ ‘দরসে নিজামী’ নামক শিক্ষাব্যবস্থার অন্যরুপ।